আইনশৃঙ্খলা অবনতি করে অপরাধ সংগঠনের সহায়তা করার অপরাধে বিতর্কিত ‘শিশু’ বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানীর (২৬) বিরুদ্ধে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বাসন থানায় আরও একটি মামলা হয়েছে। রোববার (১১ এপ্রিল) সকালের গাজীপুরের টেকনাগপাড়া এলাকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ডিজিটাল আইনে মামলাটি দায়ের করেছেন। গাজীপুর মেট্রোপলিটনের উপ-কমিশনার জাকির হাসান ঘটনার সত‌্যতা নিশ্চিত করেছেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রফিকুল ইসলাম মাদানি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নলজানি এলাকায় বাড়িয়ালী নলজানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে মারকাজুল নূর আল ইসলামিয়া মাদ্রাসায় বসে দেশদ্রোহী ও নাশকতার কার্যকলাপ চালান। একই সঙ্গে নাশকতা কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করেন। কিছু বক্তা ওয়াজ মাহফিলের নামে ধর্মীয় বক্তব্যের আড়ালে রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য প্রদান করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসছে। তাদের মধ্যে অন্যতম রফিকুল ইসলাম মাদানি ওরফে শিশুবক্তা। রফিকুল তার বক্ত্যের মাধ্যমে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ঘটে যাওয়া সহিংসতার পিছনে অন্যতম হিসাবে কাজ করেছে। তিনি গত ২৫ জানুয়ারি হতে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে তার বক্তব্যের মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অপমান, হেয়প্রতিপন্ন ও মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়াও দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অপমানজনক বক্তব্য দিয়ে ফেসবুক,ইন্টারনেট ও ইউটিউবে আপলোড করে দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে বিরাজমান সহিংসতা ও অস্থিরতা হিসাবে মূল কারণ হিসাবে কাজ করেছে। তার এসব বক্তব্যে ভিডিও ইউটিউবে ইসলামিক জীবন নামের ফেসবুক পেইজ থেকে আপলোড করা হয়। উল্লেখ‌্য, এর আগে বুধবার (৭ এপ্রিল) রফিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা থেকে তাকে আটক করে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সকালে র‌্যাব-১ এর নায়েক সুবেদার আবদুল খালেক বাদি হয়ে গাজীপুরের গাছা থানায় রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। পরে এ মামলায় ‘শিশু বক্তা’ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীকে কারাগারে পাঠানো হয়। রাষ্ট্রবিরোধী, উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এ মামলা হয়। পরে সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলামের আদালতে তাকে হাজির করা হয়।